মুসলিম ও অ-মুসলিমদের মধ্যে ঈর্ষা, দ্বেষ, হিংসা, জিহাদ সৃষ্টি করা কুরাণের আয়াতগুলি


কুরাণের সেই আয়াতগুলি যেগুলো মুসলিম ও অ-মুসলিমদের মধ্যে ঈর্ষা , দ্বেষ , হিংসা , জিহাদ এবং ঘৃণা ছড়ায় । এই আয়াতগুলি বাংলাদেশ সরকারের মিনিষ্ট্রি অফ রিলিজিয়াস এফেয়ার এর দ্বারা প্রকাশিত আল কুরাণ ও ভারতে প্রচারিত হাফেজ মুনির উদ্দিন আহমেদের বাংলা অনুবাদিত কুরাণ শরীফ থেকে নেওয়া । মূল বিষয় শুরু করার পূর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল এই যে ইসলামিক গ্রন্থে অমুসলিমদের কাফির, মুশরিক নামে ও মুসলিমদের মুমিন, ঈমানদার নামে শনাক্ত করা হয়েছে ।

☆ অমুসলিমদের সাথে লড়াই করো ত তাদের হত্যা করোঃ- 

১) অতপর যখন (এ) নিষিদ্ধ চার মাস অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন মােশরেকদের তােমরা যেখানে পাবে সেখানেই তাদের হত্যা করবে, তাদের বন্দী করবে, তাদের অবরােধ করবে এবং তাদের (ধরার) জন্যে তােমরা প্রতিটি ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে বসে থাকবে, তবে এরপরও তারা যদি তাওবা করে (দ্বীনের পথে ফিরে আসে তাহলে তােমরা তাদের পথ ছেড়ে দাও; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা ক্ষমাশীল ও বড়াে দয়াময় । (কুরাণ শরীফ 9:5 )

২) হে মু'মিনগণ! কাফিরদের মধ্যে যাহারা তােমাদের নিকটবর্তী তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ কর এবং উহারা যেন তােমাদের মধ্যে কঠোরতা দেখিতে পায়। জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তাে মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন ৷ (আল কুরাণ 9:123 )

৩) তােমরা আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর এবং জানিয়া রাখ যে, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (আল কুরাণ 2:244 )

৪) হে নবী, তুমি মােমেনদের যুদ্ধের জন্যে উদ্বুদ্ধ করাে (মনে রেখাে); তােমাদের মধ্যে বিশ জন লােকও যদি ধৈর্যশীল হতে পারে তাহলে তারা দুশ' লােকের ওপর বিজয়ী হবে, আবার তােমাদের মাঝে (এমন লােকের  সংখ্যা) যদি একশ হয় তাহলে তারা এক হাজার লােকের  ওপর জয় লাভ করবে, এর কারণ হচ্ছে, তারা এমন। জাতি যারা (আল্লাহর শক্তি সম্পর্কে কিছুই বােঝে না। (কুরাণ শরীফ 8:65 )

৫) তাদের (সাথে যুদ্ধের) জন্যে তােমরা যথাসাধ্য সাজ-সরঞ্জাম, শক্তি ও ঘােড়া প্রস্তুত রাখবে এবং এ দিয়ে তােমরা আল্লাহর দুশমন ও তােমাদের দুশমনদের ভীত-সন্ত্রস্ত করে দেবে, (এ ছাড়াও কিছু লােক আছে) যাদের পরিচয় তােমরা জানাে না, শুধু আল্লাহ তায়ালাই তাদের চেনেন; আল্লাহ তায়ালার পথে তােমরা যা কিছুই ব্যয় করবে, তার পুরােপুরি প্রতিদান তােমাদের (পরকালে) আদায় করে দেয়া হবে এবং তােমাদের ওপর বিন্দুমাত্রও যুলুম করা হবে না । (কুরাণ শরীফ 8:60 )

৬) যাহাদের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ হইয়াছে তাহাদের মধ্যে যাহারা আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে না, শেষদিনেও নয় এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যাহা হারাম করিয়াছেন তাহা হারাম গণ্য করে না এবং দীন অনুসরণ করে না, তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে, যে পর্যন্ত না তাহারা নত হইয়া স্বহস্তে জিযিয়া দেয়। (আল কুরাণ 9:29 )

৭) যাহারা তােমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে তােমরাও আল্লাহর পথে তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; কিন্তু সীমলংঘন করিও না। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সীমলংঘন-কারিগণকে ভালবাসেন না। (আল কুরাণ 2:190 )

৮) আর তােমরা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিতে থাকিবে যাবত ফিতনা দূরীভূত না হয় এবং আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠিত না হয়। যদি তাহারা বিরত হয় তবে জালিমদেরকে ব্যতীত আর কাহাকেও আক্রমণ করা চলিবে না। (আল কুরাণ 2:193 )

৯) তােমাদের জন্য যুদ্ধের বিধান দেওয়া হইল যদিও তােমাদের নিকট ইহা অপ্রিয়। কিন্তু তােমরা যাহা অপসন্দ কর সম্ভবত তাহা তোমাদের জন্য কল্যাণকর এবং যাহা ভালবাস সম্ভবত তাহা তোদের জন্য অকল্যাণকর। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না। ( আল কুরাণ 2.216 )

১০)তোমরা আল্লাহর পথে নিহত হইলে অথবা মৃত্যুবরণ করিলে, যাহা তাহার জমা করে, আল্লাহর ক্ষমা এবং দয়া অবশ্য তাহা অপেক্ষা শ্রেয় এবং তোমাদের মৃত্যু হইলে অথবা তোমরা নিহত হইলে আল্লাহরই নিকট তোমাদেরকে একত্র করা হইবে ৷ (আল কুরাণ 3:157-158 )

১১) যাহারা আল্লাহর পথে নিহত হইয়াছে তাহাদের কখনই মৃত মনে করিও না, বরং তাহারা জীবিত এবং তাহাদের প্রতিপালকের নিকট হইতে তাহার জীবিকাপ্রাপ্ত। (আল কুরাণ 3:169 ) 

১২) সুতরাং যাহারা আখিরাতের বিনিময়ে পার্থিব জীবন বিক্রয় করে তাহারা আল্লাহর পথে যুদ্ধ করুক এবং কেহ আল্লাহর পথে যুদ্ধ করিলে সে নিহত হউক অথবা বিজয়ী হউক আমি তাহাকে মহাপুরস্কার দান করিবই। ( আল কুরাণ 4:74 )

১৩) যাহারা মু'মিন তাহারা আল্লাহ্র পথে যুদ্ধ করে এবং যাহারা কাফির তাহারা তাগূতের পথে যুদ্ধ করে। সুতরাং তোমরা শয়তানের বন্ধুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর; শয়তানের কৌশল অবশ্যই দুর্বল । (আল কুরাণ 4:76 )

১৪) তাহারা ইহাই কামনা করে যে, তাহারা যেরূপ কুফরী করিয়াছে তােমরাও সেইরূপ কুফরী কর, যাহাতে তােমরা তাহাদের সমান হইয়া যাও। সুতরাং আল্লাহর পথে হিজরত না করা পর্যন্ত তাহাদের মধ্য হইতে কাহাকেও বন্ধুরূপে গ্রহণ করিবে না। যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে তাহাদেরকে যেখানে পাইবে গ্রেফতার করিবে এবং হত্যা করিবে এবং তাহাদের মধ্য হইতে কাহাকেও বন্ধু ও সহায়রূপে গ্রহণ করিবে না। ( আল কুরাণ 4:89 )

১৫) স্মরণ কর, তােমাদের প্রতিপালক ফিরিশতাগণের প্রতি প্রত্যাদেশ করেন, 'আমি তােমাদের সঙ্গে আছি, সুতরাং মু'মিনগণকে অবিচলিত রাখ।' যাহারা কুফরী করে আমি তাহাদের হৃদয়ে ভীতির সঞ্চার করিব ; সুতরাং তোমরা আঘাত কর তাহাদের স্কন্ধে ও আঘাত কর তাহাদের প্রত্যেক আঙ্গুলের অগ্রভাগে । (আল কুরাণ 8:12 )

১৬) তোমরা তাহাদেরকে হত্যা কর নাই, আল্লাহ্ই তাহাদেরকে হত্যা করিয়াছেন, এবং তুমি যখন নিক্ষেপ করিয়াছিলে তখন তুমি নিক্ষেপ কর নাই, আল্লাহ্ই নিক্ষেপ করিয়াছিলেন, এবং ইহা মু'মিনগণকে আল্লাহর পক্ষ হইতে উত্তমরূপে পরীক্ষা করিবার জন্য আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (আল কুরাণ 8:17 )

১৭) যুদ্ধে উহাদেরকে তােমরা যদি তোমাদের আয়ত্তে পাও তবে উহাদেরকে উহাদের পশ্চাতে যাহারা আছে, তাহাদের হইতে বিচ্ছিন্ন করিয়া এমনভাবে বিধ্বস্ত করিবে, যাহাতে উহারা শিক্ষা লাভ করে৷ (আল কুরাণ 8:57 )

১৮) কাফিররা যেন কখনও মনে না করে যে, তাহারা পরিত্রাণ পাইয়াছে ; নিশ্চয়ই তাহারা মু'মিনগণকে হতবল করিতে পারিবে না। (আল কুরাণ 8:59 )

১৯) আল্লাহ্ এখন তােমাদের ভার লাঘব করিলেন৷ তিনি অবগত আছেন যে, তােমাদের মধ্যে দুর্বলতা আছে; সুতরাং তােমাদের মধ্যে এক শত জন ধৈর্যশীল থাকিলে তাহার দুই শত জনের উপর বিজয়ী হইবে। আর তােমাদের মধ্যে এক সহস্ৰ থাকিলে আল্লাহর অনুজ্ঞাক্রমে তাহারা দুই সহস্রের উপর বিজয়ী হইবে। আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন ৷ (আল কুরাণ 8:66 )

২০) এবং তােমরা তাহাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করিতে থাকিবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং যদি তাহারা বিরত হয় তবে তাহারা যাহা করে আল্লাহ্ তাে তাহার সম্যক দ্রষ্টা ।( আল কুরাণ 8:39 )

২১) আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলের নিকট মুশরিকদের চুক্তি কি করিয়া বলবৎ থাকিবে ? তবে যাহাদের সঙ্গে মসজিদুল হারামের সন্নিকটে তােমরা পারস্পরিক চুক্তিতে আবদ্ধ হইয়াছিলে, যাবৎ তাহারা তোমাদের চুক্তিতে স্থির থাকিবে তােমরাও তাহাদের চুক্তিতে স্থির থাকিবে; নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মুত্তাকীদেরকে পছন্দ করেন৷ ( আল কুরাণ 9:7 )

২২) তােমরা তাহাদের সঙ্গে যুদ্ধ করিবে। তােমাদের হাতে আল্লাহ্ উহাদেরকে শাস্তি দিবেন, উহাদেরকে লাঞ্ছিত করিবেন, উহাদের উপর তােমাদেরকে বিজয়ী করবেন ও মু'মিনদের চিত্ত প্রশান্ত করিবেন । (আল কুরাণ 9:14 )

২৩) যদি তােমরা অভিযানে বাহির না হও, তবে তিনি তােমাদেরকে মর্মন্তুদ শাস্তি দিবেন এবং অপর জাতিকে তােমাদের স্থলাভিষিক্ত করিবেন এবং তােমরা তাঁহার কোন ক্ষতি করিতে পারিবে না। আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান । (আল কুরাণ 9:39 )

২৪) যে জনপদকে আমি ধ্বংস করিয়াছি তাহার সম্পর্কে নিষিদ্ধ হইয়াছে যে, তাহার অধিবাসীবৃন্দ ফিরিয়া আসিবে না । (আল কুরাণ 21:95 )

২৫) অভিশপ্ত হইয়া ; উহাদেরকে যেখানেই পাওয়া যাইবে সেখানেই ধরা হইবে এবং নির্দয়ভাবে হত্যা করা হইবে।(আল কুরাণ 33:61 )

২৬)অতএব যখন তােমরা কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধে মুকাবিলা কর তখন তাহাদের গর্দানে অঘাত কর, পরিশেষে যখন তোমরা উহাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিবে তখন উহাদেরকে কষিয়া বাঁধিবে; অতঃপর হয় অনুকম্পা, নয় মুক্তিপণ। তােমরা জিহাদ চালাইবে যতক্ষণ না যুদ্ধ ইহার অস্ত্র নামাইয়া ফেলে। ইহাই বিধান৷ ইহা এইজন্য যে, আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে উহাদেরকে শাস্তি দিতে পারিতেন, কিন্তু তিনি চাহেন তোমাদের একজনকে অপরের দ্বারা পরীক্ষা করিতে । যাহারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তিনি কখনও তাহাদের কর্ম বিনষ্ট হইতে দেননা । (আল কুরাণ 47:4 )

২৭) যাহারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে সারিবদ্ধভাবে সুদৃঢ় প্রাচীরের মত, আল্লাহ্ তাে তাহাদেরকে

ভালবাসেন । (আল কুরাণ 61:4 )

☆অমুসলিমরা শত্রুর সমানঃ-

১) যে কেহ আল্লাহ , তাঁহার ফিরিশতাগণের, তাঁহার রাসূলগণের এবং জীবরাইল ও মীকাঈলের শত্রু সে জানিয়া রাখুক, আল্লাহ নিশ্চয়ই কাফিরদের শত্রু। (আল কুরাণ 2:98 )

২) তােমরা যখন দেশ-বিদেশে সফর করিবে তখন যদি তােমাদের আশংকা হয়, কাফিররা তোমাদের জন্য ফিতনা সৃষ্টি করিবে, তবে সালাত সংক্ষিপ্ত করিলে তােমাদের কোন দোষ নাই। নিশ্চয়ই কাফিররা তােমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (আল কুরাণ 4:101 )

৩) ইহা এইহেতু যে, তাহারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরােধিতা করে এবং কেহ আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের বিরােধিতা করিলে আল্লাহ তাে শাস্তিদানে কঠোর। (আল কুরাণ 8:13 )

৪) হে মুমিনগণ! মুশরিকরা তাে অপবিত্র; সুতরাং এই বৎসরের পর তাহারা যেন মসজিদুল হারামের নিকট না আসে। যদি তােমরা দারিদ্রের আশঙ্কা কর তবে আল্লাহ্ ইচ্ছা করিলে তাঁহার নিজ করুণায় তোমাদেরকে অভাবমুক্ত করিবেন৷ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। ( আল কুরাণ 9:28 )

৫) যাহারা কুফরী করে ও আল্লাহর পথ হইতে মানুষকে নিবৃত্ত করে, অতঃপর কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে, আল্লাহ্ তাহাদেরকে কিছুতেই ক্ষমা করিবেন না । ( আল কুরাণ 47:34 )

৬) যাতে করে (তাদের মালিক কেয়ামতের দিন) এসব সত্যবাদীদের সত্যবাদীতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে পারেন, আল্লাহ তালাহ কাফেরদের জন্য পীড়াদায়াক আযাব প্রস্তুত করে রেখেছেন । (আল কুরাণ 33:8 )

৭) বল, আল্লাহ ও রাসূলের অনুগত হও।' যদি তাহারা মুখ ফিরাইয়া নেয় তবে জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তাে কাফিরদেরকে পছন্দ করেন না। (আল কুরাণ 3:32 )

৮) আল্লাহর নিকট নিকৃষ্ট জীব তাহারাই যাহারা কুফরী করে এবং ঈমান আনে না। (আল কুরাণ 8:55 )

৯) হে মুমিনগণ! আমি যাহা তােমাদেরকে দিয়াছি তাহা হইতে তােমরা ব্যয় কর সেই দিন আসিবার পূর্বে, যেই দিন ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব ও সুপারিশ থাকিবে না এবং কাফিররাই জালিম। (আল কুরাণ 2:254 )

☆অমুসলিমদের সাথে বন্ধুত্ব না করাঃ-

১) হে মুমিনগণ! তোমাদের আপনজন ব্যতীত অপর কাহাকেও অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না। তাহারা তোমাদের অনিষ্ট করিতে ত্রুটি করিবে না; যাহা তােমাদের বিপন্ন করে তাহাই তাহারা কামনা করে। তাহাদের মুখে বিদ্বেষ প্রকাশ পায় এবং তাহাদের হৃদয় যাহা গােপন রাখে তাহা আরও গুরুতর । তোমাদের জন্য নিদর্শনসমূহ বিশদভাবে বিবৃত করিয়াছি, যদি তোমরা অনুধাবন করা । ( আল কুরাণ 3:118 )

২) মু'মিনগণের পরিবর্তে যাহারা কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করে তাহারা কি উহাদের নিকট ইজ্জত চায়? সমস্ত ইজ্জত তাে আল্লাহরই । (আল কুরাণ 4:139 )

৩) হে মুমিনগণ! তোমরা ইহুদী ও খ্রিস্টানদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না, তাহারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু তােমাদের মধ্যে কেহ তাহাদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিলে সে তাহাদেরই একজন হইবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না । (আল কুরাণ 5:51 )

৪) হে মু'মিনগণ! তােমাদের পূর্বে যাহাদেরকে কিতাব দেওয়া হইয়াছে তাহাদের মধ্যে যাহারা তোমাদের দীনকে হাসি-তামাশ ও ক্রীড়ার বস্তুরূপে গ্রহণ করে তাহাদেরকে ও কাফিরদেরকে তোমরা বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না এবং যদি তোমরা মু'মিন হও তবে আল্লাহকে ভয় কর । ( আল কুরাণ 5:57 )

৫) যাহারা বলে, 'আমরা খ্রিস্টান', তাহাদেরও অঙ্গীকার গ্রহণ করিয়াছিলাম ; কিন্তু তাহারা যাহা উপদিষ্ট হইয়াছিল তাহার এক অংশ ভুলিয়া গিয়াছে। সুতরাং আমি তাহাদের মধ্যে কিয়ামত পর্যন্ত স্থায়ী শত্রতা ও বিদ্বেষ জাগরূক রাখিয়াছি ; তাহারা যাহা করিত আল্লাহ্ তাহাদেরকে অচিরেই তাহা জানাইয়া দিবেন । (আল কুরাণ 5:14 )

৬) মু'মিনগণ যেন মু'মিনগণ ব্যতীত কাফিরদের বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যে কেহ এইরূপ করিবে তাহার সঙ্গে আল্লাহর কোন সম্পর্ক থাকিবে না; তবে ব্যতিক্রম, যদি তােমরা তাহাদের নিকট হইতে আত্মরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন কর। আর আল্লাহ্ তাঁহার নিজের সম্বন্ধে তােমাদেরকে সাবধান করিতেছেন এবং আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন। (আল কুরাণ 3:28 )

৭) হে মু'মিনগণ! তােমাদের পিতা ও ভ্রাতা যদি ঈমানের মুকাবিলায় কুফরীকে শ্রেয় জ্ঞান করে, তবে উহাদেরকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করিও না। তােমাদের মধ্যে যাহারা উহাদেরকে অন্তরঙ্গরূপে গ্রহণ করে, তাহারাই জালিম। (আল কুরাণ 9:23 )

৮) হে মু'মিনগণ! তােমরা মু'মিনগণের পরিবর্তে কাফিরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না। তােমরা কি আল্লাহকে তােমাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট প্রমাণ দিতে চাও? (আল কুরাণ 4:144 )

৯) হে মুমিনগণ! তোমরা আমার শত্রু ও তোমাদের শত্রুকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করিও না, তোমরা উহাদের প্রতি বন্ধুত্বের বার্তা প্রেরণ করিতেছ, অথচ উহারা, তােমাদের নিকট যে সত্য আসিয়াছে, তাহা প্রত্যাখ্যান করিয়াছে, রাসূলকে এবং তোমাদেরকে বহিষ্কার করিয়াছে এই কারণে যে, তােমরা তােমাদের প্রতিপালক আল্লাহতে বিশ্বাস কর। যদি তোমরা আমার পথে জিহাদের উদ্দেশ্যে এবং আমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য বহির্গত হইয়া থাক, তবে কেন তােমরা উহাদের সঙ্গে গোপনে বন্ধুত্ব করিতেছ? তােমরা যাহা গোপন কর এবং তােমরা যাহা প্রকাশ কর তাহা আমি সম্যক অবগত। তােমাদের মধ্যে যে কেহ ইহা করে সে তাে বিচ্যুত হয় সরল পথ

হইতে । (আল কুরাণ 60:1 )

☆অমুসলিমদের জন্য জাহান্নামের আগুন ও শাস্তিঃ-

১) যাহারা কুফরী করিবে এবং আমার নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করিবে তাহারাই অগ্নিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হইবে। ( আল কুরাণ 2:39 )

২) উহা কত নিকৃষ্ট যাহার বিনিময়ে তাহারা তাহাদের আত্মাকে বিক্রয় করিয়াছে-উহা এই যে, আল্লাহ্ যাহা অবতীর্ণ করিয়াছেন, জিদের বশবর্তী হইয়া তাহারা তাহাকে প্রত্যাখ্যান করিত শুধু এই কারণে যে, আল্লাহ্ তাঁহার বান্দাদের মধ্য হইতে যাহাকে ইচ্ছা অনুগ্রহ করেন৷ সুতরাং তাহারা ক্রোধের উপর ক্রোধের পাত্র হইল। কাফিরদের জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে। (আল কুরাণ 2:90 )

৩) যাহারা কুফরী করে তাহাদেরকে বল, তোমরা শীঘ্রই পরাভূত হইবে এবং তোমাদেরকে একত্রিত করিয়া জাহান্নামের দিকে লইয়া যাওয়া হইবে। আর উহা কত নিকৃষ্ট আবাসস্থল ! (আল কুরাণ 3:12 )

৪) আর কেহ আল্লাহ্ ও তাহরি রাসূলের অবাধ্য হইলে এবং তাঁহার নির্ধারিত সীমালংঘন করিলে তিনি তাহাকে দোজখে নিক্ষেপ করিবেন; সেখানে সে স্থায়ী হইবে এবং তাহার জন্য লাঞ্ছনাদায়ক শাস্তি রহিয়াছে । ( আল কুরাণ 4:14 )

৫) যাহারা আমার আয়াতকে প্রত্যাখ্যান করে তাদেরকে অগ্নিতে দগ্ধ করিবই; যখনই তাহাদের চর্ম দগ্ধ হইবে তখনই উহার স্থলে নূতন চর্ম সৃষ্টি করিব, যাহাতে তাহারা শাস্তি ভোগ করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় । (আল কুরাণ 4:56 )

৬) যাহারা কুফরী করে এবং আমার আয়াতকে মিথ্যা জ্ঞান করে তাহারা প্রজ্বলিত অগ্নির অধিবাসী । (আল কুরাণ 5:10 )

৭) তাহারা দোজখ হইতে বাহির হইতে চাহিবে; কিন্তু তাহারা উহা হইতে বাহির হইবার নয় এবং তাহাদের জন্য স্থায়ী শাস্তি রহিয়াছে । (আল কুরাণ 5:37 )

৮) যাহারা আমার নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা বলিয়াছে সত্য ত্যাগের জন্য তাহাদের উপর শাস্তি আপতিত হইবে। (আল কুরাণ 6:49 )

৯) আল্লাহর পথ হইতে লােককে নিবৃত্ত করার জন্য কাফিররা তাহাদের ধনসম্পদ ব্যয় করে, তাহারা ধন-সম্পদ ব্যয় করিতেই থাকিবে; অতঃপর উহা তাহাদের মনস্তাপের কারণ হইবে; ইহার পর তাহারা পরাভূত হইবে এবং যাহারা কুফরী করে তাহাদেরকে জাহান্নামে একত্র করা হইবে । ( আল কুরাণ 8:36 )

১০) কোনাে নবীর পক্ষেই এটা শােভা পায় না যে, সে তার কাছে বন্দীদের আটকে রাখবে, যতােক্ষণ পর্যন্ত সে যমীনে রক্তপাত ঘটাবে এবং (আল্লাহর) শত্রুদের নিপাত না করে দেবে; আসলে তােমরা তাে দুনিয়ার (সামান্য) স্বার্থটুকুই চাও, আর আল্লাহ তায়ালা চান (তোমাদের) আখেরাতের কল্যাণ (দান করতে); আল্লাহ তায়ালাই হচ্ছেন পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময় । (আল কুরাণ 8:67 )

১১) সুতরাং ইহার আস্বাদ গ্রহণ কর এবং কাফিরদের জন্য দোজখের শাস্তি রহিয়াছে । (আল কুরাণ 8:14 )

১২) মুনাফিক নর, মুনাফিক নারী ও কাফিরদেরকে আল্লাহ্ প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন জাহান্নামের অগ্নির, যেখানে উহারা স্থায়ী হইবে, ইহাই উহাদের জন্য যথেষ্ট এবং আল্লাহ্ উহাদেরকে লানত করিয়াছেন এবং উহাদের জন্য রহিয়াছে স্থায়ী শাস্তি । (আল কুরাণ 9:68 )

১৩) তােমরা এবং আল্লাহর পরিবর্তে তােমরা যাহাদের ইবাদত কর সেগুলি তাে জাহান্নামের ইন্ধন। তােমরা সকলে উহাতে প্রবেশ করিবে । (আল কুরাণ 21:98 )

১৪) ইহার দুইটি বিবদমান পক্ষ, তাহারা তাহাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে ; যাহারা কুফরী করে তাহাদের জন্য প্রস্তুত করা হইয়াছে আগুনের পােশাক, তাহাদের মাথার উপর ঢালিয়া দেওয়া হইবে ফুটন্ত পানি,যাহা দ্বারা উহাদের উদরে যাহা আছে তাহা এবং উহাদের চর্ম বিগলিত করা হইবে এবং উহাদের জন্য থাকিবে লৌহমুদগর । যখনই উহারা যন্ত্রণাকাতর হইয়া জাহান্নাম হইতে বাহির হইতে চাহিবে তখনই তাহাদেরকে ফিরাইয়া দেওয়া হইবে উহাতে; উহাদেরকে বলা হইবে, আস্বাদন কর দহন-যন্ত্রণা । (আল কুরাণ 22:19-22) 

১৫) তুমি কাফিরদেরকে পৃথিবীতে কখনাে প্রবল মনে করিও না। উহাদের আশ্রয়স্থল দোযথ; কত নিকৃষ্ট এই পরিণাম! (আল কুরাণ 24:57 )

১৬) ফিরিশতাদেরকে বলা হইবে, একত্র কর জালিম ও উহাদের সহচরগণকে এবং উহাদেরকে যাহাদের ইবাদত করিত তাহারা-আল্লাহর পরিবর্তে এবং উহাদেরকে পরিচালিত কর জাহান্নামের পথে । (আল কুরাণ 37:22-23 )

১৭) আর সীমালংঘনকারীদের জন্য রহিয়াছে নিকৃষ্টতম পরিণাম জাহান্নাম, সেখানে উহারা প্রবেশ করিবে, কত নিকৃষ্ট ঠিকানা! ইহা সীমালংঘনকারীদের জন্য। সুতরাং উহারা আস্বাদন করুক ফুটন্ত পানি ও পুঁজ। আরও আছে এইরূপ বিভিন্ন ধরনের শাস্তি। 'এই তো এক বাহিনী, তােমাদের সঙ্গে প্রবেশ করিতেছে।' 'উহাদের জন্য নাই অভিনন্দন, ইহারা তাে জাহান্নামে জ্বলিবে।' (কুরাণ শরীফ 38:55-59 )

১৮) জাহান্নাম, ইহাই আল্লাহর শত্রুদের প্রতিফল; সেখানে উহাদের জন্য রহিয়াছে স্থায়ী আবাস, আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকৃতির প্রতিফলস্বরূপ। (আল কুরাণ 41:28 )

১৯) আর তিনি মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী, মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারী যাহারা আল্লাহ সম্বন্ধে মন্দ ধারণা পোষণ করে তাহাদেরকে শাস্তি দিবেন৷ অমঙ্গল চক্ৰ উহাদের জন্য, আল্লাহ উহাদের প্রতি রুষ্ট হইয়াছেন এবং উহাদেরকে লানত করিয়াছেন এবং উহাদের জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রাখিয়াছেন, উহা কত নিকৃষ্ট আবাস ! (আল কুরাণ 48:6 )

২০) ফিরিশতাদেরকে বলা হইবে, ধর উহাকে, উহার গলদেশে বেড়ি পরাইয়া দাও।অতঃপর উহাকে নিক্ষেপ কর জাহান্নামে। পুনরায় তাহাকে শৃক্মখলিত কর সত্তর হস্ত দীর্ঘ এক শৃক্মখলে', সেতাে মহান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ছিল না । (আল কুরাণ 69:30-33 )

২১) কিতাবীদের মধ্যে যাহারা কুফরী করে তাহারা এবং মুশরিকরা জাহান্নামের অগ্নিতে স্থায়িভাবে অবস্থান করিবে ; উহারাই সৃষ্টির অধম। ( আল কুরাণ 98:6 )

২২) পরিণামে আল্লাহ মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারী এবং মুশরিক পুরুষ ও মুশরিক নারীকে শাস্তি দিবেন এবং মু'মিন পুরুষ ও মু'মিন নারীকে ক্ষমা করিবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (আল কুরাণ 33:73 )

২৩) আমি অবশ্যই কাফিরদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদন করাইব এবং নিশ্চয়ই আমি উহাদেরকে উহাদের নিকৃষ্ট কার্যকলাপের প্রতিফল দিব। জাহান্নাম, ইহাই আল্লাহর শত্রুদের প্রতিফল; সেখানে উহাদের জন্য রহিয়াছে স্থায়ী আবাস, আমার নিদর্শনাবলী অস্বীকৃতির প্রতিফলস্বরূপ । (আল কুরাণ 41:27-28 )

২৪) ইহা এইহেতু যে, তাহারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরােধিতা করে এবং কেহ আল্লাহ ও তাঁহার রাসূলের বিরােধিতা করিলে আল্লাহ্ তাে শাস্তিদানে কঠোর। সুতরাং ইহার আস্বাদ গ্রহণ কর এবং কাফিরদের জন্য দোজখের শাস্তি রহিয়াছে। (আল কুরাণ 8:13-14 )

২৬) ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক নারীকে তোমরা বিবাহ করিও না-মুশরিক নারী তোমাদেরকে মুগ্ধ করিলেও, নিশ্চয় মু'মিন ক্রীতদাস তাহা অপেক্ষা উত্তম৷ ঈমান না আনা পর্যন্ত মুশরিক পুরুষের সঙ্গে তােমরা বিবাহ দিও না-মুশরিক পুরুষ তোমাদেরকে মুগ্ধ করিলেও, মু'মিন ক্রীতদাস তাহা অপেক্ষা উত্তম। উহারা অগ্নির দিকে আহ্বান করে এবং আল্লাহ তােমাদেরকে নিজ অনুগ্রহে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহ্বান করেন। তিনি মানুষের জন্য স্বীয় বিধান সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করেন, যাহাতে তাহারা উহা হইতে শিক্ষা গ্রহণ করিতে পারে। ( আল কুরাণ 2:221 )

☆আল্লাহর পথে জিহাদঃ-

১) সুতরাং আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর; তােমাকে শুধু তোমার নিজের জন্য দায়ী করা হইবে এবং মু'মিনগণকে উদ্বুদ্ধ কর, হয়তাে আল্লাহ্ কাফিরদের শক্তি সংযত করিবেন৷ আল্লাহ শক্তিতে প্রবলতর ও শাস্তিদানে কঠোরতর । (আল কুরাণ 4:84 )

২) আল্লাহর পথে যাহারা নিহত হয় তাহাদেরকে মৃত বলিও না, বরং তাহারা জীবিত; কিন্তু তােমরা উপলব্ধি করিতে পার না । ( আল কুরাণ 2:154 )

৩) কেহ আল্লাহর পথে হিজরত করিলে সে দুনিয়ায় বহু আশ্রয়স্থল এবং প্রাচুর্য লাভ করবে এবং কেহ আল্লাহ ও রাসূলের উদ্দেশ্যে নিজ গৃহ হইতে মুহাজির হইয়া বাহির হইলে এবং তাহার মৃত্যু ঘটিলে তাহার পুরস্কারের ভার আল্লাহর উপর; আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু । (আল কুরাণ 4:100 )

৪) হে মু'মিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর, তাঁহার নৈকট্য লাভের উপায় অন্বেষণ কর ও তাঁহার পথে সংগ্রাম কর, যাহাতে তােমরা সফলকাম হইতে পার। (আল কুরাণ 5:35 )

৫) মু'মিনদের মধ্যে যাহারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসিয়া থাকে ও যাহারা আল্লাহর পথে স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে তাহারা সমান নয়৷ যাহারা স্বীয় ধন-প্রাণ দ্বারা জিহাদ করে আল্লাহ্ তাহাদেরকে, যাহারা ঘরে বসিয়া থাকে তাহাদের উপর মর্যাদা দিয়াছেন ; আল্লাহ্ সকলকেই কল্যাণের প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন| যাহার ঘরে বসিয়া থাকে তাহাদের উপর যাহারা জিহাদ করে তাহাদেরকে আল্লাহ্ মহাপুরস্কারের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়াছেন । (আল কুরাণ 4:95 )

৬)যাহারা ঈমান আনিয়াছে, হিজরত করিয়াছে, নিজেদের জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহ্র পথে জিহাদ করিয়াছে ; আর যাহারা আশ্রয় দান করিয়াছে ও সাহায্য করিয়াছে তাহারা পরস্পর পরস্পরের বন্ধু। আর যাহারা ঈমান আনিয়াছে কিন্তু হিজরত করে নাই, হিজরত না করা পর্যন্ত তাহাদের অভিভাবকত্বের দায়িত্ব তোমাদের নাই ; আর দৗন সম্বন্ধে যদি তাহারা তোমাদের সাহায্য প্রার্থনা করে তবে তাহাদেরকে সাহায্য করা তােমাদের কর্তব্য, কিন্তু যে সম্প্রদায় ও তোমাদের মধ্যে চুক্তি রহিয়াছে তাহাদের বিরুদ্ধে নয়৷ তােমরা যাহা কর আল্লাহ্ উহার সম্যক দ্রষ্টা। (আল কুরাণ 8:72 )

৭) আরও জানিয়া রাখ, যুদ্ধে যাহা তোমরা লাভ কর তাহার এক-পঞ্চমাংশ আল্লাহর রসূলের, রাসূলের স্বজনদের, ইয়াতীমদের, মিসকিনদের এবং মুসাফিরদের, যদি তোমরা ঈমান রাখ আল্লাহ এবং তাহাতে যাহা মীমাংসার দিন আমি আমার বান্দার প্রতি অবতীর্ণ করিয়াছিলাম, যেই দিন দুই দল পরস্পরের সম্মুখীন হইয়াছিল এবং আল্লাহ্ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (আল কুরাণ 8:41 )

৮) যাহারা ঈমান আনে, হিজরত করে এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তাহারা আল্লাহর নিকট মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ, আর তাহারাই সফলকাম । উহাদের প্রতিপালক উহাদেরকে সুসংবাদ দিতেছেন স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, যেখানে আছে তাহাদের জন্য স্থায়ী সুখ-শান্তি৷ সেখানে তাহারা চিরস্থায়ী হইবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট আছে মহাপুরস্কার । (আল কুরাণ 9:20-22 )

৯) নিশ্চয়ই আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন হইতেই আল্লাহর বিধানে আল্লাহর নিকট মাস গণনায় মাস বারটি; তন্মধ্যে চারটি নিষিদ্ধ মাস, ইহাই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান৷ সুতরাং ইহার মধ্যে তােমরা নিজেদের প্রতি জুলুম করিও না এবং তোমরা মুশরিকদের সঙ্গে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করিবে, যেমন তাহারা তােমাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মকভাবে যুদ্ধ করিয়া থাকে। এবং জানিয়া রাখ, আল্লাহ্ তাে মুত্তাকীদের সঙ্গে আছেন। (আল কুরাণ 9:36 )

১০) এই যে মাসিকে পিছাইয়া দেওয়া কেবল কুফরী বৃদ্ধি করা, যাহা দ্বারা কাফিরদেরকে বিভ্রান্ত করা হয়। তাহারা উহাকে কোন বৎসর বৈধ করে এবং কোন বৎসর অবৈধ করে যাহাতে তাহারা আল্লাহ্ যেইগুলিকে নিষিদ্ধ করিয়াছেন, সেইগুলির গণনা পূর্ণ করিতে পারে । অনন্তর আল্লাহ যাহা হারাম করিয়াছেন তাহা হালাল করিতে পারে। তাহাদের মন্দ কাজগুলি তাহাদের জন্য শোভনীয় করা হইয়াছে। আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। (আল কুরাণ 9:37 )

১১) অভিযানে বাহির হইয়া পড়, হালকা অবস্থায় হউক অথবা ভারি অবস্থায়, এবং সংগ্রাম কর আল্লাহর পথে তােমাদের সম্পদ ও জীবন দ্বারা উহাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তােমরা জানিতে ! (আল কুরাণ 9:41 )

১২) যাহারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান আনে তাহার নিজ সম্পদ ও জীবন দ্বারা জিহাদে অব্যাহতি পাইবার প্রার্থনা তােমার নিকট করে না। আল্লাহ মুত্তাকীদের সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত । (আল কুরাণ 9:44 )

১৩) হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর ও উহাদের প্রতি কঠোর হও; উহাদের আবাসস্থল জাহান্নাম, উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল ! (আল কুরাণ 9:73 )

১৪) সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করিও না এবং তুমি কুরআনের সাহায্যে উহাদের সঙ্গে প্রবল সংগ্রাম চালাইয়া যাও । ( আল কুরাণ 25:52 )

১৫) ইহারা আল্লাহর পরিবর্তে এমন কিছুর ইবাদত করে যাহা উহাদেরকে উপকার করিতে পারে না এবং উহাদের অপকারও করিতে পারে না, কাফির তো স্বীয় প্রতিপালকের বিরােধী । ( আল কুরাণ 25:55 )

১৬) যাহারা আমার উদ্দেশ্যে সংগ্রাম করে আমি তাহাদেরকে অবশ্যই আমার পথে পরিচালিত করিব। আল্লাহ্ অবশ্যই সৎকর্মপরায়ণদের সঙ্গে থাকেন ৷ (আল কুরাণ 29:69 )

১৭) তাহারাই মু'মিন যাহারা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলের প্রতি ঈমান আনে, পরে সন্দেহ পােষণ করে না এবং জীবন ও সম্পদ দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে, তাহারাই সত্যনিষ্ঠ । (আল কুরাণ 49:15 )

১৮) হে মুমিনগণ! আমি কি তােমাদেরকে এমন এক বাণিজ্যের সন্ধান দিব যাহা তোমাদেরকে রক্ষা করিবে মর্মন্তুদ শাস্তি হইতে ?উহা এই যে, তোমরা আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূলে বিশ্বাস স্থাপন করিবে এবং তোমাদের ধন-সম্পদ ও জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করিবে। ইহাই তােমাদের জন্য শ্রেয় যদি তোমরা জানিতে! আল্লাহ তােমাদের পাপ ক্ষমা করিয়া দিবেন এবং তােমাদেরকে দাখিল করিবেন জান্নাতে যাহার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, এবং স্থায়ী জান্নাতের উত্তম বাসগৃহে । ইহাই মহাসাফল্য। (আল কুরাণ 61:10-12 )

১৯) হে নবী! কাফির ও মুনাফিকদের বিরুদ্ধে জিহাদ কর এবং উহাদের প্রতি কঠোর হও। উহাদের আশ্রয়স্থল জাহান্নাম, উহা কত নিকৃষ্ট প্রত্যাবর্তনস্থল । (আল কুরাণ 66:9 )


আরও পড়ুন 

https://pritomhindu.blogspot.com/2020/07/blog-post_8.html

https://pritomhindu.blogspot.com/2021/01/blog-post_27.html

Comments

Popular posts from this blog

দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশকেও হার মানায়

মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি কীভাবে ভারতকে ধীরে ধীরে বিভক্ত করে চলেছে ।