অসমে মুসলিম লিগের পুনরাগমন কী পুনঃরায় হিন্দু গণহত্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে ?
সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ-
১৯০৬ সালে মুসলিম লিগ জন্মলগ্ন থেকেই হিন্দুবিরোধী বাতাবরণ দেশের মধ্যে সৃষ্টি করে আসছিল । খিলাফত আন্দোলনের নামে হিন্দুদের গণহত্যা থেকে শুরু করে ১৯২১ সালে কেরলের মোফলায় হাজার হাজার হিন্দুদের গণহত্যা , নোয়াখালী হিন্দু গণহত্যা , গ্রেট কলকাতা কিলিং , দেশভাগ সহ অন্যান্য হিন্দু গণহত্যাগুলি হচ্ছে ভারতে মুসলিম লিগের অবদান ।
অসমের মুসলিমদের কেন মুসলিম লিগের বিশেষ প্রয়োজনঃ-
অসমে মুসলিম লিগ নতুন নয় বা হঠাৎ করে আসছে না । যেহেতু মুসলিম লিগ ঢাকায় স্থাপনা হয়েছিল সুতরাং অসমে তাদের অধিকার স্থাপনা করা স্বাভাবিক । অসমের মুসলিম বহুল এলাকাগুলিতে স্বাধীনতার পূর্বে মুসলিম লিগের বিশেষ প্রভাব ছিল । অসমের মুসলিমরাও মহাম্বদ আলি জিন্নার হিন্দু গণহত্যা ডাকে সাড়া দিয়ে অসমের বিভিন্ন স্থানে লিগের সামরিক কার্যসূচীকে সফল করেছিল । তৎকালীন ভারতের সিন্ধু প্রদেশ , পূর্ব বঙ্গ , পশ্চিমবঙ্গ , কাশ্মীর , হায়দ্রাবাদ , পাঞ্জাবের মতো অসমের মুসলিমদের স্বপ্ন ছিল যে অসমকে কীভাবে পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করা যায় । কিন্তু অসমে মুসলিমদের জনসংখ্যা কম হওয়ার দরুণ রাষ্ট্রবাদী হিন্দু নেতাদের প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়নি, শুধু সিলেটের মুসলিম বহুল কিছু অংশকেই পাকিস্তানে অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছিল ।
দেশভাগের পর অসমে ধীরে ধীরে মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে । ১৯০১ সালে ১৫% মুসলিম জনসংখ্যা থেকে ২০১১ সালে ৩৪% তে এসে পৌছল ।
অসমের প্রায় নয়টি জেলা মুসলিম বহুল হয়ে পড়ে ও আগামী জনগণনায় অসমে প্রায় পনেরোটি জেলা মুসলিম বহুল হওয়ার সম্ভাবনা । তাই অসমের মুসলিমদের পুরানো স্বপ্ন সফল করার জন্য অসমের মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা পুনরায় মুসলিম লিগকে ফিরিয়ে এনেছেন । মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি অসমের মুসলিম নেতাদের মধ্যে পুনরায় ১৯৪৭-এর স্বপ্ন দেখাচ্ছে ।
অসমে মুসলিম মূখ্যমন্ত্রী করার পরিকল্পনা
আব্দুল ওয়াহাব মুসলিম লিগের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছে । জনৈক ব্যক্তি বিগত অনেক দিন থেকে নিজেকে স্বঘোষিত মানবধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে বরাকে বিবেদ সৃষ্টি করছিল ।
__________________________________________
হিন্দু মেয়েদের কীভাবে লাভ জিহাদের ফাঁদে ফাঁসানো হয় ।
___________________________________________
সনাতন ধর্ম কেন খারাপ
Thank you for this reporting...
ReplyDelete